Ad 728x90

Thursday, May 27, 2021

দুই মাসে করোনাতে মহারাষ্ট্রে ৩৬ হাজারের বেশি মৃত্যু

দুই মাসে করোনাতে মহারাষ্ট্রে ৩৬ হাজারের বেশি মৃত্যু

 ভারতের মহারাষ্ট্রে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি কিছুটা কমের দিকে। তবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই মহারাষ্ট্র সরকারের। রাজ্যে গত ২ মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৫৪ জনের। রাজ্যটিতে করোনায় এই মৃত্যুর হার চিন্তায় ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে


, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬০১ জনের।গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৯৫। মাত্র কয়েক দিনে যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৩৪৯ জনে। ১৯ এপ্রিলের পর থেকে এ রাজ্যে প্রতিদিন ৫০০ জনের বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৫৬ লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ১৪ হাজার রোগীর এখনো চিকিৎসা চলছে। গত ১০ দিনে মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৭ জনের।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে রাজ্যের যে ১৮টি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি, সেসব জেলায় হোম আইসোলেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এসব জেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে হবে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের কারণে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মুম্বাইতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৪। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৫ জন। শহরটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ৭০৮ জন।
ইসরায়েলের অপরাধের তদন্ত করবে জাতিসংঘ

ইসরায়েলের অপরাধের তদন্ত করবে জাতিসংঘ

 ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে ১১ দিনের সংঘাতের ঘটনার তদন্ত করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। ওই সংঘাত তদন্তের দাবি নিয়ে তোলা একটি প্রস্তাবের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ভোটাভুটি হয়। এতে তদন্তের পক্ষে মত দেয় পরিষদের ফোরামের বেশির ভাগ সদস্য।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের তদন্তের জন্য ওই প্রস্তাব আনে। বৃহস্পতিবার পুরোদিন ওই প্রস্তাবের ওপর অধিবেশন চলে। এরপর হয় ভোটাভুটি। এতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের ফোরামের মধ্যে ২৪টি দেশ পক্ষে এবং নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ১৪টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।ওই প্রস্তাবে ইসরায়েল–হামাস সংঘাত তদন্তের জন্য একটি স্থানীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়। এই কমিশন ইসরায়েল, গাজা, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, গাজায় ব্যাপক মাত্রায় হতাহতের ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি সতর্ক করেন, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করতে পারে। ইসরায়েলের দিকে হামাসের নির্বিচারে রকেট নিক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মিশেল ব্যাশেলেট আরও বলেন, সামরিক কাজে ব্যবহৃত ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান গাজার বেসামরিক ভবনে হামলা চালিয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ তিনি দেখতে পাননি। তিনি বলেন, ‘হামলা যদি সমানুপাতিক হারে না হয় , তাহলে সেটা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’ ইসরায়েলে নির্বিচারে রকেট হামলার জন্য গাজার সরকার হামাসের সমালোচনাও করেন বাচেলেট।

গত ১০ মে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের ১১ দিনের অভিযানে অন্তত ২৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। যাদের মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। আহত হন ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হামাস ইসরায়েলের দিকে কয়কে হাজার রকেট ছোড়ে, যার বেশির ভাগই আয়রন ডোম পদ্ধতি দিয়ে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েল। তবে হামাসের হামলায় দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হন।

গাজায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার প্রকাশ করতে গিয়ে ব্যাশেলেট, ‘যদিও ইসরায়েলি হামলাগুলো ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্য ও তাঁদের স্থাপনাকে লক্ষ্য করে কিন্তু এর ফলে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত ও নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেসামরিক স্থাপনাও।’

এর মাধ্যমে জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা গাজায় সরকারি ভবন, আবাসিক ভবন, আন্তর্জাতিক সহায়তা কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সংবাদমাধ্যমের অফিসে আঘাত হানার ব্যাপারে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ধ্বংস হওয়া অনেক ভবন গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করত বলে ইসরায়েল যে দাবি করেছে, আমরা কিন্তু এর এমন কোনো প্রমাণ দেখেনি।’

ব্যাশেলেট আরও বলেন, নিজের নাগরিক ও তাঁদের ঘরবাড়ি রক্ষা করা ইসরায়েল অধিকার, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ফিলিস্তিনিদেরও সেই অধিকার আছে। একই অধিকার।

এই সংঘাতের তদন্তের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রগতি এসেছে, তা ব্যাহত করবে এই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

ইসরায়েল বলেছে, ওই তদন্তের ব্যাপারে কোনো ধরনের সহযোগিতা তারা করবে না। গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইসরায়েলবিরোধী মনোভাবের আরেকটি উদাহরণ।’

তবে হামাস জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এই পদক্ষেপেরর স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের নিজেদের ‘বৈধ প্রতিরোধ’ চলবে। ইসরায়েলকে যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।


ভারতে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ঢাকার এক যুবক আটক

ভারতে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ঢাকার এক যুবক আটক

 ভারতে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ঢাকার এক যুবক আটক


প্রকাশঃ২৮ মে ২০২১, ৬ঃ২০



ভারতে কয়েকজন মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে, সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশি এক যুবকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কেরালা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রথম আলোকে বলেন, কেরালা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ঘটনায় পাঁচজনকে আটকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তারা। আটকদের এক যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক বাবু নামের ওই যুবক ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিও ওই এলাকার বাসিন্দা।বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির বাবা মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে হৃদয় বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্যাতনের শিকার মেয়েটি ও নির্যাতনকারীদের দেশে আনার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন।

হৃদয় বাবুকে কীভাবে শনাক্ত করা হয়েছে সেই বিবরণ দিয়ে উপকমিশনার শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। মেয়েটি ঢাকার মগবাজারের জানিয়ে তাকে উদ্ধার করতে না পারায় পুলিশের সমালোচনা করে পোস্ট দেন অনেকে। এরপর পুলিশের সাইবার পেট্রোলিং দলের সদস্যরা টিকটক বাবুর ফেসবুক আইডি শনাক্ত করে নির্যাতনকারী যুবকের সঙ্গে চেহারার মিল খুঁজে পান। ভিডিওতে সাদা গেঞ্জি পরা যে যুবককে দেখা গেছে, তিনিই হৃদয় বাবু।

গত বুধবার বাবুর মামাকে হাতিরঝিল থানায় এনে তাকে দিয়ে হৃদয় বাবুর সঙ্গে কৌশলে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলানো হয়। অপর প্রান্ত থেকে হৃদয় বাবু তাদের বলেন, তিন মাস আগে তিনি ভারতের কেরালায় এসেছেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে নির্যাতনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ভারতের কেরালায় ১৫-১৬ দিন আগের। তার সঙ্গে অন্য যাদের দেখা গেছে তারা তার বন্ধু। পরে হৃদয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মেয়েটির মা-বাবার খোঁজ পান পুলিশ কর্মকর্তারা। এদিকে হৃদয় বাবুর মা পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান, উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে চার মাস আগে হৃদয়কে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

পরে হৃদয়ের বাসা থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, জেএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও নিবন্ধন কার্ড এবং তার বিরুদ্ধে এর আগে রমনা থানায় দায়ের হওয়া একটি ডাকাতির মামলার এজাহার জব্দ করে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাবাকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ বলেন, মেয়েটির বাবা হতদরিদ্র। শরবত বিক্রি করে প্রতিদিন দেড় শ টাকা রোজগার করেন এবং তা দিয়েই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান। হাতিরঝিল থানায় এসে তিনি মেয়ের দুরবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, তিন মাস ধরে মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। পাঁচ বছর আগে কুমিল্লার এক সৌদিপ্রবাসীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে জামাতা তার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। মেয়ের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। অভাবের কারণে মেয়ে সৌদি আরবে কাজে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সুযোগে হৃদয় বাবু তাকে বিয়ে করার কথা বলে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে মেয়েকে নিয়ে যায়।

উপকমিশনার শহিদুল্লাহ জানান, ফেসবুকে ওই ভিডিও ছড়ানোর পর